গত ৮ মে প্রথম ধাপের ভোটে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দিয়ে আলোচনায় আসেন বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল হাফিজ মল্লিক। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বুধবার দুপুর ১২টায় তাকে নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হতে চিঠি দিয়েছিল ইসি। চিঠিতে বলা হয়, গত ৮ মে অনুষ্ঠেয় বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন ৪৭ নম্বর মঙ্গলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে প্রকাশ্যে ভোট দেন হাফিজ মল্লিক, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রকাশিত হয়েছে।
“প্রকাশ্যে ভোট প্রদান করে ভোটের গোপনীয়তা রক্ষা না করা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ৭৮ এর বিধান অনুসারে শাস্তিযোগ্য নির্বাচনি অপরাধ। এ অপরাধ সংঘটনের কারণে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও পদ্ধতিগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্পিকারের কাছে কেন চিঠি দেওয়া হবে না, সে বিষয়ে বুধবার দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখা দেওয়ার জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।” হাফিজ মল্লিকের বিষয়ে শুনানি হয় বুধবার বেলা ১২ টায়। প্রধান নির্বাচন কমিশনা কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ নির্বাচন কমিশনাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
শুনানি শেষে বেরিয়ে এসে এমপি হাফিজ মল্লিক সাংবাদিকদের বলেন, “গোপন কক্ষে যাওয়ার কাজটা আমি দাঁড়িয়ে করেছিলাম। লাস্ট মোমেন্টে ঠিক ৪টার কয়েক মিনিট আগে পৌঁছেছি। কেউ ছিল না সেখানে। খুব তাড়াতাড়ি করে ব্যালট নিয়ে ড্রপ করেছি। কাকে ভোট দিয়েছি কেউ দেখে নাই।" সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, "আমার মনে হয় না আমি বেশি বড় ভুল করছি। বিধির কিছুটা লঙ্ঘন এইটা সত্য। এখন কমিশনের সিদ্ধান্ত তাদের হাতে। আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি।"
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বুধবার নির্বাচন কমিশনের তলবে হাজির হয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানান ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।কমিশনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, “উনি ভুল স্বীকার করেছেন, লজ্জিত হয়েছেন। নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ করবে না। তার ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কমিশন আমলে নিয়ে অব্যাহতি দিয়েছে।"
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।